ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর ও ৫ জন আহত হয়। শুক্রবার সকালে উপজেলার দুধসর ইউনিয়নে দুধসর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৩৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুধসর গ্রামে নৌকা মার্কার বিজয়ী চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন সাবুর চাচা বাবলু ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকালে নৌকা মার্কায় ভোট না দেওয়ার অভিযোগে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর চালায়।
এ সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, কালাই জোয়ার্দ্দার, সাত্তার সর্দার, আবু তালেব সর্দার, শরিফুদ্দিন জোয়ার্দ্দার, নুরুল মোল্যা, মিজারুল ইসলাম, আমজাদ মোল্যা, মনিরুদ্দিন মোল্যা, মফিজুল মোল্যা, ফিরোজ মোল্যা, আতিয়ার রহমান, মতিয়ার রহমানসহ ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া বাবলু জোয়ার্দ্দারের দোকান, সিরাজ জোয়ার্দ্দারের দোকান, বাটুল জোয়ার্দ্দারের দোকানসহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব জোয়ার্দ্দারের ছোট ভাই আয়ুব জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, গত দুই বছর আগে তাদের সমর্থক শহীদ শেখ আহতের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলাটি তুলে নিতে ভোটের পর থেকে বাবলুর সমর্থকরা শহীদ শেখের উপর হুমকি দিতে থাকে। মামলা তুলে না নেওয়ায় তারা এ হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে।
প্রতিপক্ষ বাবলু জানান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দারের সমর্থকরা তাদের সমর্থক কালাই জোয়ার্দ্দারের বাড়িতে ও বাগদী পাড়াই নৌকার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাইদ সাহ, নিরঞ্জন বাগদী ও গৌরী বাগদীসহ ৫জন আহত হয়।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, দুধসর গ্রামে দু-দল গ্রামবাসী একে অপরের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ হামলাকরীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৩৮ রাউন্ড রাবা বুলেট ও ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে এলাকাটি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ