সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। মামলার আসামি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও পরাজিত প্রার্থী ওহিদুল ইসলামসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শক্রবার ভোর রাতে তাদেরকে উপজেলার গদাইপুর ও খাজরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল কুদ্দুস, গোলাম মোস্তফা, মোস্তাকিন মোল্যা ও গোলাম রাব্বি।
পুলিশ ও এলাবকাবাসী জানায়, বুধবার শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ হবার পর খাজরা ইউনিয়নে ৫ জানুয়ারি রাতে ও বৃহস্পতিবার সকালে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসময় পরাজিত প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী ওহিদুল ইসলামের বাড়ীতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের নেতত্বে তার কর্মী ও সমর্থকরা হামলা চালায়। এ সময় নিজেকে আত্মরক্ষা করতে ওহিদুল ইসলাম তার লাইসেন্সকৃত সটগান দিয়ে গুলি ছোড়ে। এতে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। চেয়ারম্যান ডালিম ও তার কর্মী সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওহিদুলের বাড়িতে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাড়ীতে ওহিদুলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, এ ঘটনায় বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ওহিদুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপরদিকে, ওহিদুল ইসলামের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল কুদ্দুস বাদি হয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। উভয় গ্রুপের দায়ের করা দুই মামলায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও তার প্রতিদ্ব›দ্বী পরাজিত প্রার্থী ওহিদুল ইসলামসহ মোট ৬ জনকে শক্রবার ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে সাতক্ষীরা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ