বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হওয়া ২১ জন শিশু ও কিশোর-কিশোরী দেশে ফিরেছে। ২৮ জন ফেরত আসার কথা থাকলেও ৭ জনের ওমিক্রন ধরা পড়েছে। তাই বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ২১ জনকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে নোম্যান্সল্যান্ডে ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ সময় কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রথম সেক্রেটারি শামিমা ইয়াসমিন স্মৃতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সেহেলি শাবরিন উপস্থিত ছিলেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মাদ রাজু বলেন, দেশে ফেরত আসা অধিকাংশ শিশু ও কিশোর। বিভিন্ন সময়ে ভারতে গিয়ে কেউ হারিয়ে যায়, আবার কেউ কেউ পুলিশের কাছে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে সেদেশের সেইফ হোমে থাকে। আজ ২৮ জনের ফেরার কথা থাকলেও ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে ৭ জন নিরাপদ হেফাজতে আছে। বাকি ২১ জনকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারি শামিমা ইয়াসমিন স্মৃতি বলেন, তাদের কেউ কেউ পাচারের শিকার। বাকিরা ভারতে অবৈধভাবে অবস্থানের কারণে পুলিশের কাছে আটক হয়। বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতা, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন সেইফ হোমে অবস্থানরত এ সকল বাংলাদেশি কিশোর ও শিশুদের নাগরিকত্ব যাচাই বাছাই শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশে নারী-শিশু পাচার হওয়াদের উদ্ধারের জন্য কাজ করে থাকি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাচার হওয়া ২৮ জন শিশু ও নারীদের আমরা উদ্ধার করেছি। তাদের মধ্যে ভারতে ৭ জনের ওমিক্রন ধরা পড়ায় আজ ২১ জনকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামক বেসরকারি সাহায্য সংস্থা দেশে ফেরত আসা এই সব শিশু কিশোরদের পুর্নবাসনে কাজ করবে বলে সংস্থার সদস্য রোকেয়া বেগম জানান।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন