ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের নয়নপুর, পুনিয়াউট, পৈরতলা, মধ্যপাড়া, দক্ষিণ পৈরতলা বাস্ট্যান্ড, সরকার পাড়া, বনিকপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শহরের একাংশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। উত্তেজিত জনতা ওই কুকুরটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
কুকুরের কামড়ে গাজীউর রহমান(৭০), হনুফা (৮০), শফিক (৫৮), সিয়াম (১১), মিম আক্তার (৭), আবির (১৬), মোহন মিয়া (২২), ধন মিয়া (৬৫), হামিদ মিয়া (৯), সানিতা বেগম (৪), তানিয়া বেগম (২০), সাহেদ মিয়া (৪৮), জাহাঙ্গির মিয়া (৪০), রবিউল হোসেন (৮), ইমরান মিয়া (১২), আকাশ মিয়া (১৫), পাপিয়া বেগম (৩৩), হোসনা বেগম (২৫), তাহমিনা বেগম (১৯) সহ দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ পৈরতলা বাস্ট্যান্ডের টিকেট বিক্রেতা আরমান (৩৭) জানান, আমি টিকেট বিক্রি করে কাউন্টারের সামনে দুপুরের দিকে দাঁড়ানো অবস্থায় একটি কুকুর হঠাৎ করে এসে পায়ে দুটো কামড় দেয়। আমি কুকুরটিকে ছাড়াতে গেলে হাতেও কামড় দেয়। সাথে সাথে আমি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন নিয়েছি।
দক্ষিণ পৈরতলা গ্রামের গৃহবধু দোলন মল্লিক (২৮) জানান, ব্যাংকের কাজ সেরে বাড়ি যাবার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পেছন থেকে একটি কুকুর এসে আমার পায়ের উপরের অংশে কামড় বসায়। আমি দ্রুত স্থান ত্যাগ করলে সেটি চলে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত একটি পাগলা কুকুর শহরের কয়েকটি এলাকায় রাস্তায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে কামড়ে আহত করেছে। পরে উত্তেজিত জনতা কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরেছে। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ জানান, বুধবার দুপুর থেকে পাগলা কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন প্রচুর মানুষ। একপর্যায়ে হাসপাতাল ভরে যায়। আমরা সকলকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন দিয়েছি। হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ আসায় আক্রান্তদের সেবা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা আছে। আহতদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনমতো।
বিডি প্রতিদিন/এএম