১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫৫

ক্লিনিক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চিকিৎসককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ক্লিনিক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চিকিৎসককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

ক্লিনিক ব্যবসায়ী আব্দুল লতিব

বিশেষ একটি ক্লিনিকে টেস্ট লিখে দেওয়ায় অভিযোগে মেহেরপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদকে লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটেছে। মেহেরপুর ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির এবং মেহেরপুর ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিবের লাঞ্চিত করার এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ লাঞ্চিতর ঘটনা বুধবার সন্ধ্যায় হলেও শনিবার সন্ধ্যা থেকে ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিও থেকে জানা যায়, বুধবার বিকালে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে ছিলেন ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদ। এ সময় তিনি আগত রোগীদের ব্যবস্থা পত্রে বিভিন্ন টেস্টের জন্য বিশেষ একটি ডায়াগনিস্ট সেন্টারের নাম লিখে দিয়ে সেখান থেকে পরীক্ষা করে আসার জন্য বলেন। এদিকে মেহেরপুর ক্যামিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও মেহেরপুর ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিব তার ডায়গনিস্ট সেন্টারে রোগী না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে প্রকাশ্যে ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহিদকে লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনার পর ডা. আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহেদকে কান্নারত অবস্থায় হাসপাতাল ছাড়তে দেখা যায় ভিডিওতে। এর পর থেকে ডাক্তার আবু হাসান মোহাম্মদ ওয়াহিদকে হাসপাতাল কমপাউন্ডে পাওয়া যায়নি, মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হলে তরিকুল মুজিবনগর নামে একজন লিখেছেন, গোলামির ফল পাইছেন ডাক্তার। 

পিয়াস বিশ্বাস লিখেছেন, আমরা কোথাও না কোথাও জিম্মি হয়ে যাচ্ছি।

হানিফ মন্ডল লিখেছেন, ঘটনার ধিক্কার জানাই।

আবার কেউ কেউ লিখেছেন, ঘটনার তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

এই বিষয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, আমরা দ্রুত এই বিষয়ে সিন্ধান্ত নেবো।

এই বিষয়ে মেহেরপুর কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং মেহেরপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিব বলেন, ‘ওই সময় আমার মাথা ঠিক ছিলো না, তাই এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে আমার কেউ কিছু করতে পারবে না, আমাদের মতো ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়ে হাসপাতাল স্টাফদের বেতন হয়, তাই তারা আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।’


বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর