১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:১০

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে মারধরের অভিযোগ

মারধরের বিচারের দাবিতে থানার সামনে এভাবেই অবস্থান নেন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাইমা আক্তার

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাইমা আক্তারকে মারপিট ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের দোতালায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাইমা আক্তার বাদি হয়ে বিহার ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা ওসি সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অভিযোগে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রকল্প বিভাজনের জন্য উপজেলা পরিষদে স্টেট রিলিফ (টি.আর) এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তারও উপস্থিত হন। এ সময় প্রকল্প নিয়ে কথাবার্তা শুরু হলে ফাইমার আক্তারের সঙ্গে বিহার ইউপির চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামের বাক-বিতণ্ডা হয় এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

পরে সভা শেষে ভাইস চেয়ারম্যান প্রকল্প কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে মারধর করে পড়নের কাপড় ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানি ঘটান। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার সঙ্গী পলাশসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন ছিলেন। তারা অস্ত্র বের করে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 

ঘটনার পর বিকাল ৫টা থেকে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের বিচারের দাবিতে উপজেলা সদরে অবস্থিত থানার গেটে অবস্থান নেন। বিষয়টি জানার পর রাত পৌনে ১০টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম শম্পা এসে তাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এর আগে রাতে তিনি শিবগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। 

ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার বলেন, মহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন আমাকে মারপিট করে শ্লীলতাহানি করেছে। এখন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম শম্পা বলেন, আমার কক্ষের বাইরে ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা দেখছি।  

তিনি বলেন, ঘটনার পর ভাইস চেয়ারম্যান থানা গেটে অবস্থান নিয়েছেন- এমন সংবাদ শুনে রাতেই থানা গেটে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ প্রসঙ্গে বিহার ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম বলেন, তাকে ধমক দেওয়া হয়েছে। মারপিট বা শ্লীলতাহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর