বগুড়ার আদমদীঘিতে বন্দনা রানী পাল নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্কুল শিক্ষক স্বামী শিরীশ চন্দ্র পালকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার লাশটি নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার রামপুরা গ্রামের ক্ষুদিরাম পালের ছেলে স্কুল শিক্ষক শিরীশ চন্দ্র পালের সাথে বগুড়ার শেরপুরের কল্যানী গ্রামের স্বপন পালের মেয়ে বন্দনা রানী পালের বিয়ে হয়। শিরীশ চন্দ্র পাল মৌলভিবাজারের জুড়ি উপজেলার ছোট ধামাইল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। স্বামীর চাকুরীর সুবাদে বন্দনা রানী মৌলভিবাজারের উত্তর ভবানীপুর গ্রামে স্বামীর সাথে থাকতেন।
গত বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে বন্দনা রানী মারা গেছেন। তার পরিবারকে ওই দিন ভোর ৫টায় মুঠোফোনে এ খবর জানায় স্বামী শিরীশ পাল। এরপর জুড়ি থানা এলাকা থেকে লাশ নিয়ে রাতেই উপজেলার রামপুরা গ্রামে নিয়ে আসেন। কিন্তু এ খবরে পরিবারের সদস্যদের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বন্দনা রানীর লাশ দেখার জন্য তার বাবা ও ভাইসহ পরিবারের লোকজন বারবার তাগিদ দিলেও দেখতে না দেয়ায় বন্দনা রানীর মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে তারা দাবী করেন।এরপর নিহত গৃহবধূর ভাই তপন কুমার পাল রাতে আদমদীঘি থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ রামপুরা গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার ও স্বামী শিরীশ চন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে। বন্দনা রানীর ভাই তপন কুমার পালের দাবী তার বোনকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার জানান, শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূর লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর বিকালে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী শিরীশ চন্দ্র পালকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর