২২ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:১৪

গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে কাকলি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক গৃহবধূর শাশুড়ি বেগম আক্তারকে (৫৫) কোর্টে পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে গৃহবধূর বাবা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে শ্বাশুড়ি, স্বামীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে শুক্রবার বিকালে কেন্দুয়া থানার পুলিশ উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের রামপুর হাসুয়ারি গ্রামের মৃত একদিল মিয়ার ছেলে সুপল মিয়ার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে যায়। 

গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য কাকলিকে হত্যা করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয়ভাবে শ্বাশুরবাড়ির লোকজন প্রচার চালায়।খবর পেয়ে তারা গিয়ে দেখে লাশ উঠানে ফেলে রাখে। 

গৃহবধূর স্বজনরা জানান, গত আড়াই বছর পুর্বে কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের সাত্তার মিয়ার মেয়ে কাকলির বিয়ে হয় একই উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের হাসুয়ারি গ্রামের মৃত একদিল মিয়ার ছেলে সুপল মিয়ার সাথে। তাদের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন সময়ে মোটরসাইকেল কিনতে টাকা চেয়ে চাপ দিতো। এ ঘটনায় দুইবার কাকলিকে বাবার বাড়ি নিয়ে যায়। পরে আবার সুফল মিযা আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় পুনরায় ফিরিয়ে আনে। শুক্রবারও টাকা চেয়ে সুফল ফোন দেয় শাশুড়িকে। পরে এ নিয়ে বাকবিতন্ডা হলে ফোন বন্ধ করে রাখে। এরপর গ্রামের অন্যান্য মানুষের কাছে শুনে বোনের লাশ দেখতে পায় ভাই ও স্বজনরা। 

ভাই কামরুলসহ স্বজনরা জানান, এরা কাকলিকে তিন তলার উপরে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলে। পরে আবার লাশ নামিয়ে এনে উঠোনে রেখে দেয়। তারা বোনের সাত মাসের শিশু বাচ্চাটিকে লুকিয়ে রেখেছে বলেও অভিযোগ করে। স্বজনদের দাবি- এই ঘটনার বিচার করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। 

কেন্দুয়া থানার ওসি কাজি শাহনেওয়াজ বলেন, নারী শিশু আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। শাশুড়িকে আটক করেছি। অন্যরা সবাই পলাতক রয়েছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর