২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৪১

পেঁয়াজের চাহিদা ৩৫ থেকে ৩৬ লাখ মেট্রিক টন

গাজীপুর প্রতিনিধি:

পেঁয়াজের চাহিদা ৩৫ থেকে ৩৬ লাখ মেট্রিক টন

পেঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়, যা আগে ছিল দশম। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩৫ থেকে ৩৬ লক্ষ মেট্রিক টন। সেখানে গত বছর আমাদের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩২ লক্ষ মেট্রিক টন। গত ১ বছরে আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৮ লক্ষ মেট্রিক টন। 

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা মাঠে গ্রীষ্মকালীন বা সারা বছর চাষ উপযোগী বারি পেঁয়াজ-৫ এর উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক মাঠ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য জানান। বুধবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।

বারি’র আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে আরো বক্তব্য রাখের বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিবেদিতা নাথ প্রমুখ।

বিজ্ঞানীরা জানান, বারি পেঁয়াজ-৫ আগাম ও নাবি খরিপ মৌসুমে আবাদ উপযোগী স্বল্পমেয়াদী গ্রীষ্মকালীন তবে সারা বছর চাষের উপযোগী উচ্চ ফলনশীল জাত। প্রতিটি গাছের উচ্চতা ৫০-৫৫ সেন্টিমিটার এবং প্রতিটি গাছে ১০-১২ টি পাতা হয়। কন্দ গোলাকার এবং লালচে বর্ণের। প্রতিটি কন্দের গড় ওজন প্রায় ৯০-১০০ গ্রাম হয়ে থাকে। বাংলাদেশে পেঁয়াজের জাতীয় গড় ফলন হেক্টর প্রতি ১০.৫৬ টন হলেও বারি পেঁয়াজ-৫ এর হেক্টর প্রতি ফলন ১৬-২২ টন। গ্রীষ্মকালীন বারি পেঁয়াজ-৫ আগাম চাষে মার্চ থেকে জুন এবং নাবি চাষে আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসে চাষ করা যায়। 

বারি’র প্রটোকল অফিসার মো: আল-আমিন জানান, বারি’র মসলা গবেষণা কেন্দ্র এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৪৭টি জাত উদ্ভাবন করেছে যার মধ্যে পেঁয়াজের জাত ৬টি। প্রতি বছর আমাদের প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় যা মোট মসলা আমদানির অর্ধেক। আমরা যদি পেঁয়াজের নতুন জাতগুলো সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে চাষাবাদ করি তাহলে পেঁয়াজ উৎপাদনে খুব শীঘ্রই আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারবো। 

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর