সরকার পৌর এলাকায় ডিলারের মাধ্যমে চাল ও আটা বিক্রয় করছেন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় সরকার নির্ধারিত ডিলারের দোকানে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ভাঙ্গা মহিলা কলেজ রোডে ডিলার সোবাহান মুন্সীর দোকানে গিয়ে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ক্রেতারা সকলেই নিম্ন আয়ের মানুষ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ৬ দিন (শুক্রবার ব্যতীত) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ওএমএস-এর চাল বিক্রি হওয়ার কথা। একজন ডিলার প্রতিদিন এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা বরাদ্দ পান। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারেন। গত ২২ জানুয়ারি থেকে ভাঙ্গায় এ চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়। ক্রেতারা সকাল ৯টার আগেই ডিলারের দোকানের সামনে এসে ভিড় করছেন। দুপুরের আগেই বরাদ্দকৃত চাল ও আটা বিক্রি শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্রেতা এসে না পেয়ে ফেরত যাচ্ছে।
ভাঙ্গা পৌরসভার হোগলাডাঙ্গী মহল্লার বাসিন্দা জমসেদ ফকির (৫৫) জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর চাল ও আটা কিনতে পারলাম। কম দামে চাল ও আটা কিনতে পেরে আমাদের মত গরীব মানুষের বেশ উপকার হচ্ছে। ভাঙ্গার চৌধুরীকান্দা সদরদী মহল্লার মনজু বেগম (৩৫) বলেন, ২ ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি চাল ও আটা কেনার জন্য।
ডিলার সোবাহান মুন্সী বলেন, যে চাল ও আটা বরাদ্দ পাই তা দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যায়। অনেকেই এসে না পেয়ে ফেরত যায়। বরাদ্দ দ্বিগুণ করলে মোটামুটি মানুষের চাহিদা অনুযায়ী চাল ও আটা দেওয়া যেত।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর