শেরপুরে স্কুলছাত্রী মামাতো বোনকে অপহরণ ও ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর মামলায় মো. শফিকুল ইসলাম (৩৭) নামে এক যুবককে ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত শফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার গোয়ালবর এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, রায়ে ধর্ষণের দায়ে শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন বা ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। এছাড়াও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসাথে চলবে।
এদিকে, ওই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. জয়নাল আবেদীন নামে অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মো. শফিকুল ইসলাম তার মামাতো বোন ঝিনাইগাতী উপজেলার ভারুয়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১২) স্কুলে যাওয়ার পথে জোরপূর্বক অপহরণ করে। এরপর তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় ১৮ আগস্ট শফিকুলসহ তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার।
পরবর্তীতে ঝিনাইগাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী বিশ্বাস ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রধান আসামি শফিকুল ও তার সহযোগী জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু মামলার শুরু থেকেই উভয় আসামি পলাতক থাকেন।
বিচারিক পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদী, ভিকটিম, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন