চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উভয় পক্ষের ছয় জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে সদর উপজেলা ৬২ নং আড়িয়া গ্রামে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বিজয়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলীর সমর্থকরা প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকের বাড়ি হামলা করলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় স্থানীয়রা।
হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন- মিজানুর রহমানের সমর্থক ৬২ নং আড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আওলাদ হোসেন (৫৫) ও জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০), জাহাঙ্গীরের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪০) ও প্রতিবেশী আহাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ শিমুল (১৮) এবং শুকুর আলীর সমর্থক তিতুদহ গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে হোসেন আলী (৫০) ও আছের উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ শামীম (৩০)। আহতদের মধ্যে হোসেন আলীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে ১০-১৫ জন লোক দুটি মোটরসাইকেল ও একটি আলমসাধু (ভটভটি) নিয়ে ৬২ আড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে জখম করে। পিটিয়ে আহত করে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী, ভাই ও প্রতিবেশী শিমুলকে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয়দের হাতে আটক হয় হোসেন আলী ও শামীম। এসময় মিজানুর রহমানের সমর্থকরা তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, তার কোনো সমর্থক হামলার সাথে জড়িত হয়। হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৫টি হাসুয়া, দুটি মোটরসাইকেল ও একটি আলমসাধু জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম