ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাদ্য গুদাম ব্যবস্থাপনায় 'সরকারি খাদ্য গুদামের খামাল ব্যবস্থাপনা' নামে একটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। দেশে প্রথবারের মতো চালু করা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে গুদামের সার্বিক কার্যক্রম অনলাইনেই তদারকি করা যাবে।
রবিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী। পাইলট প্রকল্পের আওতায় আপাতত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের কার্যক্রম সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, বর্তমানে খাদ্য গুদামের মজুদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অফিস থেকে খামাল কার্ড নিয়ে খাদ্য গুদামে প্রবেশ করে মজুদ খাদ্যশস্য যাচাই-বাছাই করতে হয়। এরপর সেখান থেকে দৈনিক পণ্য ও প্রকার ভিত্তিক মোট মজুদ তথ্য উপজেলা ও জেলা অফিসে পাঠান। এছাড়া গুদামে খামাল ভিত্তিক মজুদের তথ্য প্রয়োজন হলে খাদ্য গুদাম থেকে পৃথকভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়।
সুবীর নাথ চৌধুরী আরও বলেন, গুদামে সংরক্ষিত খাদ্যশস্য মজুদ ব্যবস্থাপনা তদারকিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রতিমাসে আটবার এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রতি দুইমাসে একবার খাদ্য গুদামগুলো পরিদর্শনের নির্দেশনা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা মাসে দুইবার এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দুই মাসে একবার খাদ্য গুদামগুলোতে গিয়ে খামালের মজুদ যাচাই-বাছাই করেন। মূলত গুদামে প্রবেশ না করে গুদামের কোন খামালে কী পরিমাণ মজুদ আছে-সেটি জানার সুযোগ নেই। কোনো কোনো ক্ষেত্রে খামালের অবস্থান মার্ক
করা হয় না, ফলে ওয়ারেন্টি ভঙ্গ করে খাদ্যশস্য বিতরণের সুযোগ থাকে। তবে সফটওয়্যার চালু করার ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দূরে অবস্থান করেও খামালভিত্তিক মজুদ ও ট্রানজেকশন তদারকি করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীবসহ প্রতিষ্ঠানটিন অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন