স্বপ্ন পূরণে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়েছিলেন রুহিত হাছান বাবু (২৯)। কিন্তু স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। মৃত্যুর একমাস ১৯ দিন পর বাড়িতে এলো তার লাশ। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তার লাশ আসার পর পরিবারের লোকজন কাছে লাশের কফিন হস্তান্তর করা হয়। রুহিত হাছান বাবু'র লাশ রবিবার ভোরে নিজ বাড়িতে পৌঁছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। কদিন পরেই তার বিয়ের কথা ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার মায়া বাজার হাজী পাড়া গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার একমাত্র পুত্র রুহিত হাছান বাবু প্রায় ৭ বছর আগে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন নিয়ে দক্ষিন কোরিয়ায় পাড়ি জমান। কোরিয়া যেতে তার পিতার মোটা অংকের ঋণ হয়। কিছু দিন পরে টাকা পাঠিয়ে পিতাকে ঋণ মুক্ত করেন। এরকিছু দিনের মধ্যে দেশে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল তার। যখন সুখের মুখ দেখতে শুরু করে গোটা পরিবার। সে সময়ে চলে এল দুঃসংবাদ। দক্ষিণ কোরিয়ার ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া থেকে জানানো হয় অসুস্থ রুহিতকে কোরিয়ার সুয়ন শহরের আজউ ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর পর পহেলা জানুয়ারি মৃত্যুর খবর আসে। দিশেহারা হয়ে পরে পিতা-মাতা।
সরকারের কাছে রুহিতের লাশ দেশে আনার জন্য আবেদন করা হয়। সরকার কোরিয়ায় নিয়োজিত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ১ মাস ১৯ দিন পর দেশে নিয়ে আসে রুহিতের লাশ। রবিবার দুপুরে হারাগাছ মায়া বাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্থানে রুহিত হাছানকে দাফন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল