অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিক পন্থায় বগুড়া জেলা যুব সংহতির কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। ওই কমিটি বাতিল করে সর্বসম্মতভাবে গঠিত কমিটি অনুমোদনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে সদ্য গঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনসহ দলীয় চেয়ারম্যানের কাছে নতুন কমিটি অনুমোদনের আবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি জেলা যুবসংহতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় সাংগাঠনিক টিমের এক মতবিনিময় সভায় শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুককে আহ্বায়ক, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বাবায়ক ও বগুড়া-২ আসনের সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর ছেলে হুসাইন শরীফ সঞ্চয়কে সদস্য সচিব করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তৃতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ওই কমিটি গঠনের সময় দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের যেমন জানানো হয়নি তেমনি তাদেরকে কমিটিতেও রাখা হয়নি। একই সঙ্গে উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দে ছাড়াই একটি মনগড়া কমিটি গঠন হয়েছে বলে অভিযোগ করে ওই কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
জেলা যুব সংহতির বিগত কমিটির সদস্য সচিব ও দীর্ঘদিন থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ত্যাগীদের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ না দিয়ে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা যুব সংহতির আহ্বায়ক ফারুক ও সদস্য সচিব এমপি পুত্র সঞ্চয় তাদের অনুসারীদের দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছে বলে অধিকাংশ নেতাকর্মী অভিযোগ করেন। এই কমিটি বাতিলের জন্য কাহালু উপজেলা যুব সংহতি মানববন্ধনও করেছেন।
এদিকে, অগণতান্ত্রিক পন্থায় কমিটি গঠন করার প্রতিবাদ জানিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পৃথক সভা করে একটি কমিটি গঠন করেছেন, যা অনুমোদনের জন্য জাপা চেয়ারম্যানসহ যুব সংহতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দর কাছে কমিটি জমা দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বরাবর আবেদন সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জেলা উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দের নিয়ে সাধারণ সভা জেলা আহ্বায়ক শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুকের অনুপস্থিতিতে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আহ্বায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। এ কমিটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানসহ যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ২৭ জন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন হয়েছে।
জেলা যুব সংহতির পুর্নগঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও বিগত কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ১৪ জানুয়ারি জেলা যুবসংহতির সভা সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। পূর্বের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির ১৬ জনের মধ্যে মাত্র ২ জন সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন তিনি লালমনিরহাটে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের এর কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা ওই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে রাজশাহী বিভাগীয় সাংগাঠনিক টিমের সদস্য এবং রাজশাহী মহানগর যুবসংহতির সভাপতি সাজিদ রওশন ইসান জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে বগুড়ার দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে এক মাসের মধ্যে সম্মেলনের শর্তে জেলা যুব সংহতির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের সুপারিশ করলে কেন্দ্র অনুমোদন করেছে। কেন্দ্রের নির্দেশ মোতাবেক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত