লালমনিরহাট সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৩০ মিনিট ধরে হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়াসহ শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। চলে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে। এতে বিপাকে পড়ে হাজারো কৃষক।
এদিকে শিলা বৃষ্টিতে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকে বলছেন, এই শীতের শেষ মৌসুমে শিলা বৃষ্টি কখনো দেখেননি তারা।
জানা গেছে,লালমনিহাটের ৫ উপজেলায় সোমবার সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি। সারা দিন ছিল কনকনে শীত আর হিমেল হওয়া। এতে সাধারন মানুষ বিপাকে পড়েছে। অনেকে ঘর থেকে বেরোতে পারেনি। রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়ার সংখ্যা ছিল কম।
এদিকে লালমনিরহাটে সদরের বড়বাড়ি,আদিতমারীর কমলাবাড়িও কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক শিলা ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শিলাবৃষ্টি কারণে আলু,পেঁয়াজ, রসুন,গম,ভুট্টা,ইরিধান,তামাক ও আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন,এমন শিলাবৃষ্টি জীবনে দেখি নাই বাহে আলু, পিয়াজ, তামাকের এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাঁচ বিঘার তামাক আর আলু ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে এই শিলাবৃষ্টিতে। চলবালা ইউনিয়নের কৃষক শাহ আলী জানান,জমিতে আলু লাগাইছি এই শিলা বৃষ্টিতে আলুর ক্ষতি হয়েছে। যেটা ব্যয় করে আলু এখন সে টাকা উঠবে না। আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক রহিম উদ্দিন জানান, বিকেল থেকেই বৃষ্টি হয়েছিল। হঠাৎ দমকা ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। এর একটু পরেই শুরু হয় প্রচুর শিলা বৃষ্টি। এতে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ জানান, সদর উপজেলায় ও কালীগঞ্জ উপজেলাসহ বেশ কিছু স্থানে প্রচুর শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে আলু,ভুট্টা,পিয়াজ,রসুন,মরিচ,তামাকসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি উপ-সহকারীকে কৃষকের ফসলের ক্ষতির পরিমাণের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম