কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাংয়ে ইয়াছমিন আক্তার (৩৬) নামে গৃহবধূর আত্মহত্যা নয় বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে তার ছোট ভাই সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোর্শেদ আলমের নাম উল্লেখপূর্বক ২-৩ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। এদিন রাতেই মোর্শেদ আলমকে (৪৮) তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোর্শেদ হারবাং ইউনিয়নের কিল্লার পূর্ব পাড়া এলাকার কালু সওদাগরের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে মোয়াজ্জেমের ভাড়া বাসা থেকে ইয়াছমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার স্বামী মোয়াজ্জেম ঢাকায় ছিলেন।
জানা যায়, গৃহবধূ ইয়াছমিন ও মোয়াজ্জেমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ইয়াছমিনের আগের সংসারে একজন শিশু সন্তান রয়েছে। সে তার বাবার সাথে থাকে। অপরদিকে মোয়াজ্জেমেরও প্রথম স্ত্রী রয়েছে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, আত্মহত্যা নয়, গৃহবধূ ইয়াছমিন আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার লাশ ঘরের চালার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, গৃহবধূর স্বামী মোয়াজ্জেম ঢাকায় গার্মেন্ট এ চাকুরির সুবাদে ইয়াছমিনের ঘরে যাতায়াত ছিল মোর্শেদের। এতে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। তকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে এখনো জানা যায়নি। মোর্শেদ ও মোয়াজ্জেম সম্পর্কে মামাতো ভাই। তাকে আদালতে উপস্থাপন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও ওসি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএম