ফরিদপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি পিয়াজ চাষ হয় সদরপুর উপজেলায়। অধিক পরিমাণে পিয়াজের আবাদ হওয়ায় স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠায় ব্যবসায়ীরা। বিগত দিনগুলোতে পিয়াজ আবাদ করে বেশ লাভবান হচ্ছিল এ অঞ্চলের চাষীরা। ফলে দিনকে দিন সদরপুরের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আবাদ হচ্ছে পিয়াজ। এ বছর উপজেলায় মুড়িকাটা পিয়াজের বাম্পার ফলন হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাঁসি নেই।
বীজ বোপনের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে ও প্রতিকূল আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় পিয়াজ চাষীরা বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরেও লাভের আশায় পুনরায় বীজ বপন করে চাষীরা। চার মাস ক্ষেত পরিচর্যা শেষে বর্তমানে পিয়াজ তোলার ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এবার তুলনামূলকভাবে পিয়াজ ছোট আকারের হয়েছে। ফলে তেমন একটা দাম পাচ্ছেন না চাষীরা।
বেশ কয়েকজন পিয়াজ চাষীরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পিয়াজ চাষ করতে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমি থেকে ৭০ থেকে ৯০ মণ পিয়াজ উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি মন পিয়াজ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় বর্তমানে পিয়াজের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান, এবছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৬৬৩ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পিয়াজের আবাদ হয়েছে। পিয়াজ চাষীদের মাঝে সরকারিভাবে প্রণোদনার আওতায় এনে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সার, বীজসহ বিভিন্ন ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে পিয়াজের বাজার দর নিম্মমুখী হওয়ায় কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কিছুটা বেগ পেতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত