রাঙ্গাতরী। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি কোনো ভাসমান নৌকা। কিন্তু নৌকায় প্রবেশ করলেই যে কারও চোখ কপালে উঠবে। আকর্ষণীয় ডিজাইন। নান্দনিক আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো পুরো হোটেল। মনমুগ্ধ পরিবেশ। আছে খাবার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। বলছি, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে ভাসমান নৌকা হোটেল রাঙ্গাতরীর কথা।
বুধবার সকালে শহরের মহীদ মিনার ঘটে এ রাঙ্গাতরীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
এসময় রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোকতার আহমেদ, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রাঙ্গাতরীর উদ্যোক্তা মো. তোফায়েল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গাতরীর উদ্যোক্তা মো. তোফায়েল আহমেদ জানান, এ রাঙ্গাতরী শুধু ঘাটেই সিমাবদ্ধ থাকবে না। পর্যকদের নিয়ে ঘুরে বেড়াবে হ্রদের বুকে। আর যারা রাত্রিযাপন করবে তারা উপভোগ করতে পারবে কাপ্তই হ্রদের মৃদু ঢেউ আর জ্যোৎস্না। এমন পরিবেশে পর্যটকদের সেবা দিতে আছে পর্যাপ্ত পরিচালনা কর্মী।
তিনি আরও বলেন, এ রাঙ্গাতরীতে রয়েছে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা। আছে ৬টি রুমে, ৬টি খাট। পর্যটকদের স্বল্প বাজেটের মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। দেশের যে কোনো স্থান থেকে পর্যটকদের বুকিং নেওয়া হবে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এটি সত্যি আকর্ষণীয় উদ্যোগ। পর্যটকদের নজর কাড়বে সহজে। তবে সেবার মান ধরে রাখতে হবে। যাতে পর্যটকরা অসন্তুষ্ট না হয়।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা