বিডি প্রতিদিন/এএ
শিরোনাম
- ৫ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ পুলিশের ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি
- ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
- চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান
- বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
- উন্নয়নের নামে প্রতারণা করে ক্ষমতায় ছিল স্বৈরাচারী সরকার : রিজভী
- হাসিনার কল রেকর্ড ফাঁস : ‘এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি’
- নাটোরে সেনা অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ১২ সদস্য গ্রেপ্তার
- ভিডিও ছড়ানোর ‘মূলহোতা’ শাহ পরান পাঁচদিনের রিমান্ডে
- র্যাগিংয়ের নামে জুনিয়রদের যৌন হেনস্তার অভিযোগে ৭ ইসরায়েলি সেনা আটক
- চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে ১৫ দিনের কর্মসূচি
- স্পেনের আদালতে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু
- জুলাই বিরোধী শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রতিবাদে গোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
- সিরাজগঞ্জে ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
- টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে হ্যারি ব্রুক
- সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা মাউশির
- ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে জাকেরের বড় লাফ, শান্ত-লিটনের অবনমন
- খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ শেফালিকা ত্রিপুরার
- ট্রাম্প টাওয়ারে অফিস খুলছে ফিফা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু
রায়পুরে প্রতিবেশির গোয়াল ঘরে ঠাঁই হলো বৃদ্ধার
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

অসহায় দরিদ্র ছালেহা খাতুনের (৬০) নিজের বলতে কিছুই নেই। বাধ্য হয়ে সহায়-সম্বলহীন এ বৃদ্ধার ঠাঁই অন্যের গোয়াল ঘরে। অভাবের তাড়নায় একমাত্র ভাই আলাদা করে দিয়েছেন বৃদ্ধাকে। ভিক্ষা করতে পারলে পেটে খাবার জোটে, অন্যথায় উপোস থাকতে হয় তাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছালেহার স্বামী প্রায় ২০-২২ বছর আগে মারা যান। নেই কোনো সন্তানও। আপনজন বলতে আছেন একমাত্র ভাই। সেও দিনমজুর। অভাবের তাড়নায় অসহায় দিনমজুর ভাই বৃদ্ধাকে অন্যত্র চলে যেতে বলেন। ফলে গত ১৫ দিন ধরে তিনি রায়পুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পূবলাচ গ্রামে অন্যের গোয়াল ঘরে বসবাস করছেন। গোয়াল ঘরের মালিক চাঁন মিয়া জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর মানুষের বাড়িতে কাজ করলেও এখন বয়সের ভারে আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। কোনো ছেলে মেয়ে না থাকার ফলে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। কোনো মতে চলা-ফেরা করতে পারলেও পরিশ্রম করতে পারেন না।
কান্নাজড়ি কণ্ঠে ছালেহা খাতুন বলেন, ভিক্ষা করে দিনে যা আনি তাই খাই। ভিক্ষা করতে না পারলে না খেয়ে থাকি। যায়গা জমি না থাকায় নিজের কোনো ঘর নেই। স্বামী ও সন্তান না থাকায় ঘরের কথাও চিন্তা করিনি। এখন গোয়াল ঘরে থাকতে হবে এটা কল্পনাও করিনি। তিনি আরো বলেন, স্বামী মারা যাবার পর থেকেই কষ্টে দিনাতিপাত করছি। কেউ আমাকে বিধবা বা বয়স্ক ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করে দিলে দু’বেলা খেয়ে পরে বাঁচতে পারতাম।
এ বিষয়ে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, বৃদ্ধার কষ্টের কথা শুনেছি, মানবিক দিক বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব পৌরসভা থেকে আর্থিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনজন দাস বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। খোঁজ-খবর নিয়ে তাঁকে জরুরী ভিত্তিতে সরকারী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এই বিভাগের আরও খবর