ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোস্টে প্রায় ৭ লাখ টাকার ভারতীয় কাপড় জব্দ করেছে আখাউড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার বিকালে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা-আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে হয়ে আসা চার বাংলাদেশির কাছ থেকে ১৪৭০ পিস কাপড় জব্দ করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন চট্টগ্রামের সাদ্দাম হোসেন, শওকত ওসনান, খোরশেদুল আলম ও মোহাম্মদ ইমতিয়াজ। কাপড়গুলো চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বিকালে ৪ যুবক ১২টি বড় বড় ব্যাগ নিয়ে ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করে। ইমিগ্রেশন শেষ করেও তারা কাস্টমসে না এসে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিকল্প পথে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। কাস্টমস গোয়েন্দা নজরদারি করে তাদের কাস্টমস বিভাগে নিয়ে আসে।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, বাংলাদেশের কিছু ব্যবসায়ী ও স্থলবন্দরের ১০/১৫ জনের একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার কাপড় বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। ভারতীয় কিছু নাগরিকও লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে কাপড় আমদানির সরকারি আদেশ না থাকায় ওই চক্রটি বেশিরভাগ সময়ই ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এসব কাপড় নিয়ে আসে। মাঝে মাঝে কাস্টমসে ধরা পড়লে প্রভাব খাটিয়ে কাপড় ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এভাবে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে ভারতীয় কাপড় আসায় বাংলাদেশি কাপড়ের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আখাউড়া কাস্টমস স্থল শুল্ক রাজস্ব কর্মকর্তা নোমান সিদ্দিকী বলেন, পণ্যগুলো অবৈধ না হওয়ায় আপাতত এগুলো জব্দ তালিকা করে রাখা হয়েছে। ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে মালিকগণ কাপড় ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি, এই পণ্যগুলো থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে পারব। কাপড়ের মালিকরা যদি রাজস্ব পরিশোধ করে তাহলে কাপড়গুলো ফেরত দেওয়া হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমপরিমাণ রাজস্ব পরিশোধ করতে না পারে তাহলে এগেুলো পুরোপুরি জব্দ করে দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা