পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে নতুন একটি উপজেলা গঠন করা হবে— এমন গুজব চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের একটি পক্ষ এমন গুজব ছড়িয়ে সংঘাত সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে দাবি করেছে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
আজ রবিবার দুপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাতুব্বর লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, বিগত জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনগুলোতে যেসব আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দল মনোনীত প্রার্থীদের বিরোধিতা করেছিল, তারাই বিএনপি ও জামায়াতের লোকদের সাথে নিয়ে নতুন উপজেলা গঠন হবে- এমন গুজব ছড়িয়েছে। এ নিয়ে মিছিল-মিটিং করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারা উপজেলায় একটি সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাদের গুজবে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
সেলিম মাতুব্বর আরও জানান, পরিপত্র অনুযায়ী একটি উপজেলা গঠন করতে হলে কমপক্ষে ৮টি ইউনিয়ন এবং আড়াই লক্ষ জনসংখ্যা প্রয়োজন। কিন্তু নতুন যে উপজেলা গঠন নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে সেখানে মাত্র ৫টি ইউনিয়নের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কেউই অবগত নয়।
তিনি দাবি করেন, পিরোজপুরের ২ জন সংসদ সদস্য এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে এ গুজব ছড়ানো হয়েছে। তাই এ গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, মঠবাড়িয়ার ভৌগলিক সীমানার কোনো পরিবর্তন হবে না।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর