বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরে সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত ও যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে এবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার চেয়ে গত ৮ দিন আগে আবেদন করেও প্রতিকার না পাওয়ায় তারা বিক্ষোভ করেন।
উত্যক্তকারী ওই বখাটেকে গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এর আগে গত ২ এপ্রিল মোরেলগঞ্জ সদরের বারুইখালি এলাকার মো. ফিরোজ বেপারী (২০) নামে এক বখাটে মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে। পরের দিন ৩ এপ্রিল এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ৮ দিন পার হলেও এ ঘটনায় কোনো প্রকার আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, মোরেলগঞ্জ সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী গত ২ এপ্রিল স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইভিটিজিংয়ের শিকার হন। পরের দিন আমাদের প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ঘটনার ৮ দিন পর হলেও এ ঘটনায় কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা না নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
ইভিটিজিংয়ের শিকার শিক্ষার্থী বলেন, ইভটিজার ফিরোজ বেপারীার বাবা মতি বেপারী বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলনের বাড়িতে কাজ করেন। এ কারণে ক্ষমতার দাপটে বখাটে ওই যুবক বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নানা অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। আমার ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম মোবাইল ফোনে বলেন, ইভিটিজিংয়ের বিষয়ে অভিযোগটি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ওই ইভটিজারকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল