চৈত্রের শেষ দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঝড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে ছিল শিলাবৃষ্টি। এই শিলাবৃষ্টি যেন তাণ্ডব চালিয়েছে ফসলি ক্ষেতে। রবিবার দুপুরে শিলার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের।
পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গী, রুহিয়ায় প্রায় আধা ঘণ্টার শিলাবৃষ্টির দাপটে আম, লিচু, তরমুজ, ভুট্টা, গম, ধান, জামসহ উঠতি মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে দাবিকৃষকদের। এ ছাড়া গাছপালা ও অনেক ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
তবে ক্ষতি নিরূপণে মাঠে নেমেছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী এলাকার মরিচ চাষী ফরিদুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন পরই মরিচ তোলার কথা ছিল তার। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে দুই বিঘা জমির মরিচ ঝরে পড়েছে তার। প্রতিবছর মরিচ বিক্রি করেই তিনি সংসারের সিংহভাগ খরচ বহন করে থাকেন।
বাগান ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম বলেন, সাড়ে তিনশ গাছের আমের গুটি ও পাতা ঝরে গেছে। আমি একদম পথে বসে গেলাম। এর আগে ঠাকুরগাঁও সদরের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলাম। সে ধকল সামলাতে না সামলাতেই আবারও শিলাবৃষ্টি আমার সবকিছু সর্বমান্ত করে দিয়েছে। গাছে যেসব আমের গুটি আছে তা দিয়ে আর কোনো স্বপ্ন দেখতে চাই না।।
রানীশংকৈলের লেহেম্বার ভুট্টাচাষী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভুট্টার মাঠ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ভুট্টার মোচাগুলো পাথরের আঘাতে ভেঙে পড়েছে। গাছগুলো ভেঙে শুয়ে গেছে। আমি ৭ বিঘা জমিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি প্রায় তিন লাখ টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন শিলাবৃষ্টিতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, কী পরিমাণ জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নিরূপণে তিনিসহ কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ