রংপুরের মিঠাপুকুরে সহপাঠিদের সাথে বিবাদের জেরে শ্রেণি শিক্ষকের হাতে বেড়ধক মার খেয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী রামিম খান। তার বাব-মা প্রতিবাদ করায় সোমবার ওই শিক্ষার্থী ও তার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া বোনকে ছাড়পত্র (টিসি) দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করেছেন শিক্ষার্থীর মা। রংপুরের মিঠাপুকুরে নলেজ পাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থী রামিম খান উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চিথলী উত্তরপাড়া গ্রামের রুমন খানের ছোটো ছেলে। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মিঠাপুকুর উপজেলা সদরের অদূরে গড়েরমাথা এলাকায় অবস্থিত নলেজ পাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে রামিম খান। তার বড় বোন তাসফিয়া রিমিও একই বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
ওই শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সহপাঠিদের সাথে বিবাদ নিয়ে শ্রেণি শিক্ষক সোনালী রানী ৯ এপ্রিল রামিমকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পরদিন তার বাবা রুমেন খান ও মা রোকেয়া খাতুন স্বপ্না প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রতিবাদ করেন। এসময় শিক্ষক ও অভিভাবকের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুজ্জান লিমন তার প্রতিষ্ঠানে পড়া স্বপ্না দম্পতির ছেলে মেয়েকে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেন।
রোকেয়া বেগম স্বপ্না অভিযোগ করে বলেন, প্রায় সময় শ্রেণি শিক্ষিকা সোনালী রানী আমার ছেলেকে পাঠদানকালে মোটা, পাগল, হাবাগোবা বলে উত্যক্ত করতেন। আমার ছেলেকে বেধড়ক মারপিট করেছেন। আমি বিচার চাওয়ায় শিক্ষকেরা আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা সোনালী রানী সাংবাদিকদের বলেন, দুষ্টুমি করায় শাসন করা হয়েছে।
নলেজ পাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান লিমন বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তেমন মারপিট করা হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তারা। ছাত্রপত্র চাওয়ায় তাদেরকে ছাড়পত্র দিয়েছেন বলেও জানান অধ্যক্ষ।
মিঠাপুকুর শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা ঘটে থাকলে খুবই দুঃখজন। অভিযোগ পেলে এর কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল