ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যা মামলায় কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার এম মঞ্জুর আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মঞ্জুর আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম গুন্দু জানিয়েছেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এক এনজিও’র নারী কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল। তাকে বিয়ে করার জন্য ৩০০ টাকার একটি স্ট্যাম্পে বিয়ের লিখিত দলিল করেছিলেন তিনি।
একপর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে তাকে ফুসলিয়ে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটান মামলার প্রধান আসামি মঞ্জুর আলম। গত ৪ জানুয়ারি বিয়ের কাবিনামার কথা বলে ওই নারীকে উখিয়ার মরিচ্যা বাজারে মঞ্জুর আলমের বাসায় এনে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় ভিকটিম উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন পলাতক থেকে ইউপি সদস্য মঞ্জুর উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু উচ্চ আদালত তাকে জামিন না দিয়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। বুধবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয় বলে জানান অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম গুন্দু।
বিডি প্রতিদিন/এমআই