নড়াইলের কালিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন। বুধবার দুপুরে উপজেলার পাটেশ্বরী বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মহিষখোলা গ্রামের মিকাইল মোল্যার ছেলে মিরাজ মোল্যার নিকট প্রতিবেশী পাটেশ্বারী গ্রামের মিজানুর শেখের ছেলে শারাফত শেখের ৫০০ টাকা পাওনা ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই পাওনা টাকা চাইতে গেলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বিবদমান মহিষখোলা গ্রামের বাদশা মোল্যা গ্রুপ এবং পাটেশ্বরী গ্রামের সেলিম শেখ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় ২০ ব্যক্তি আহত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছাঁলে দু’দলের লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
উভয় গ্রুপের আহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে, তারা হলেন-মর্তুজা, পলাশ মোল্যা, মিরাজ শেখ, আলামিন, শিমুল মোল্যা, ইয়াজুল মোল্যা ও মুক্তার মোল্যাসহ অন্তত ২০ জন। এদের নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইয়াজুল মোল্যাসহ পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। কালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে দুটি পক্ষের বিরোধ চলছিল। গত বছর ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষের হামলায় সেই বিরোধের বলি হন মহিষখোলা গ্রামের বাসিন্দা মো. আল আমিন শেখ নামে এক মসজিদের ইমাম। সেই থেকে উভয় গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই