ঢাকার ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত ইফতার পাটিতে খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ির একপর্যায়ে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ইফতার পাটির প্রধান অতিথি স্থানীয় এমপি বেনজীর আহমদ উপস্থিত ছিলেন। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আমতা ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য বিউটি আক্তার তার ছেলে রাব্বিসহ কমপক্ষে ২৬ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আর বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন ধামরাইয়ের কাওয়ালিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ শেখ রাসেল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এলাকায় চরম থমথম অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, ধামরাইয়ের ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বুধবার ইফতার পাটির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন ঢাকা ২০ আসনের এমপি বেনজীর আহমদ। অনুষ্ঠানের শেষ সময়ে এমপির বক্তব্য চলাকালে খাবার বিতরণ চলে। এ সময় হঠাৎ করেই খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। একপর্যায়ে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওই সময় পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনলেও এমপি চলে যাওয়ার পর দফায় দফায় শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মহিলা ইউপি সদস্য বিউটি আক্তার, তার ছেলে রাব্বি, আমতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলে জাব্বার, আলামিন, সেলিম, আহমদ, কাইয়ুম, রাকিবসহ প্রায় ২৬ জন আহত হন।
এদের মধ্যে ১২ জনকে ধামরাই উপজেলাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে মহিলা মেম্বার ও তার ছেলের অবস্থা আশংকাজনক বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাইয়ুম ও মোস্তাফিজ নামে দু জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্তে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আমতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন জানান, ইফতার পাটিতে পর্যাপ্ত খাবার থাকার সত্বেও কেন খাবার নিয়ে এমন ঘটনা ঘটল তা উৎঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আর আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। ধামরাইয়ের কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শেখ রাসেল জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ২জনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর