ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে সোমবার ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরি সহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের আংশিক লোকজন একদিন আগে রোজা ও দুইটি ঈদ পালন করে থাকেন। এসব এলাকার মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শুরু করে। তাই এসব এলাকার লোকজন দেশে জাতীয়ভাবে ঈদ পালনের একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ধলেরচর, ইছাপাশাসহ ৩টি গ্রামের কিছু মানুষ একইসাথে ঈদ উদযাপন করেন।
বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতির সভাপতি মো. ইস্রাফিল মোল্যা জানান, রূপাপাত ও শেখর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রামগুলোর আংশিক মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুইটি ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রূপাপাত ইউনিয়নের কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক জানান, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে এসব ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তিনটি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তারা নামাজ শেষ করেছেন।
আলফাডাঙ্গার ধলেরচর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা ওলামালীগের সাবেক সভাপতি আবু বক্কার বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল দায়রা শরিফে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আলফাডাঙ্গার আমরা যারা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান, তারা ধলেরচর মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে আমাদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান বেঁচে থাকতে ঈদের নামাজ আদায় করতাম। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে সহস্রাইল নামাজ পড়ি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই