ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঘরে ফিরেছে মানুষ। গত শুক্রবার থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত তিন দিনে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯০টি যানবাহন। এরমধ্যে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে ২১ হাজার ১৩৩টি। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৯ কোটি দুই লাখ ২ হাজার ৭৫০ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গগামী পরিবহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে ৭১ হাজার ৯৫৬।
জানা গেছে, জেলা পুলিশের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এবার ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে যাত্রীদের তেমন ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত একলেনের চলেছে পরিবহন। এতে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলো সেতুপূর্ব গোলচত্বর হতে ভুঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। ফলে চাপ পড়েনি মহাসড়কে। এছাড়া ঈদের ছুটিতে ঢাকার গার্মেন্টসগুলো পৃথক সময়ে ছুটি দেওয়ায় মহাসড়কেও প্রভাব কম পড়েছে। এতে এক রকম স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে তারা।
বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা জানান, ধারণা ছিল ঈদে যানজটে পড়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। কিন্তু ভোগান্তি হয়নি। সাধারণ সময়ের মত গন্তব্যে পৌঁছানো গেছে। তবে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত সড়কে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী গণমাধ্যমকে জানান, এবার ঈদে মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা ছিল বেশি। সেতুর সবগুলো টোল বুথ চালু ছিল। এছাড়া মোটরসাইকেলের জন্য টোলপ্লাজার দক্ষিণপাশে আলাদা দুটি টোল বুথ স্থাপন হয়েছে। গত তিনদিনে সেতুতে ৯ কোটির অধিক টাকা টোল আদায় হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত