নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার চাঞ্চল্যকর উজ্জল হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পর পলাতক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেমকে (৫৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্ত হয়ে বিভিন্ন মাজারে মাজারে নিজ নাম পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে ১০ বছর পার করে দিয়েছেন ওই আটক কাশেম।
গতকাল শুক্রবার (৬ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. বারেক হাওলাদার বন্দরের কদম রসুল মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।। গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেম নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেন ওরফে মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
প্রসঙ্গত, বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকায় প্রবাস ফেরত মো. উজ্জল মিয়ার কাছ থেকে সিগারেটের আগুন ধরানোর জন্য ব্যবহৃত একটি লাইটার ম্যাচ ধার নেয় সুজন। এর একদিন পর সুজনের কাছে লাইটার ফেরত চায় উজ্জল। এই নিয়ে ২০১২ সালের ১৬ জুন তাদের দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে সুজন, কালু, আজমান ও আবুল কাশেমসহ আরও কয়েকজন উজ্জলকে মারধর করে মাথায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহত উজ্জলের বাবা লুৎফর রহমান বাদী হয়ে সুজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে এ হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রথম বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর চারজনের ফাঁসির রায় দেন।
তারা হলেন- বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার সুজন, কালু, আজমা ও আবুল কাশেম (গ্রেফতারকৃত)। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে শুধু সুজন উপস্থিত ছিল। পলাতক ছিলেন আবুল কাশেমসহ অন্য তিনজন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর