কুমিল্লায় বাবার কাছে পাওনা ৪৫০ টাকার জন্য সাহেদ হোসেন শান্ত নামের এক কিশোরকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ভৈরবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার ভিডিও-ছবি শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কিশোরের বাবা ইউসুফ মিয়া চারজনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে বুড়িচং থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ঘটনার মূলহোতা নাহিদুল ইসলাম (২০), নাজমুল হোসেন (২৩) ও জসিম উদ্দিন (২৭)।
বুড়িচং থানার ওসি মাকছুদ আলম বলেন, পুলিশের একটি দল গঠন করে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি একজনকে গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে পুলিশের ওই দল। শিগগিরই তাকেও গ্রেফতার করা হবে।
বুড়িচং থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাহেদ হোসেন শান্ত ভৈরবপুর গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে। কিছুদিন আগে তার বাবা ইউসুফ মিয়া একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে নাহিদুলের কাছ থেকে একটি খাট কিনে নেন। এতে ৪৫০ টাকা বকেয়া ছিল। ঈদের কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ী নাহিদুল তাদের বাড়ি গিয়ে বকেয়া টাকার জন্য গালমন্দ করেন। এতে ইউসুফ মিয়া সপ্তাহ খানেক পরে টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে গত ঈদের দিন বিকালে ইউসুফের ছেলে শান্তকে অস্ত্র ঠেকিয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে নাহিদুল ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনার ভিডিও এবং ছবি শুক্রবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম