ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের গংগাধরদী গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে অর্ধশতাধিক। এ সময় এলাকার ৮টি বসতবাড়ি, একটি দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘারুয়া ইউনিয়নের গংগাধরদী গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ঘারুয়া ইউনিয়নের গংগাধরদী গ্রামের মতিয়ার রহমান, অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের মান্নান মোল্লা। গত শুক্রবার (৬ মে) গংগাধরদী গ্রামের মৃত চুন্নু মুন্সীর জেয়াফত উপলক্ষে তার পরিবার এলাকার লোকজনের দুপুরের খাবারের আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানে তিনি গ্রামের দুই পক্ষের লোকদের দাওয়াত দেন। দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে মান্নান মোল্লার পক্ষের ইয়াছিন নামক এক ব্যক্তিকে মতিয়ারের পক্ষের লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (৭ মে) সকাল ৭টার দিকে দুই পক্ষের শতশত লোক ঢাল, সড়কিসহ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় অর্ধশতাধিক লোক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় মান্নান মোল্লা, মামুন শেখ, শাজাহান শেখ, জলিল চোকদারের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ও সুজন চোকদারের মোটরসাইকেল, পিকআপ, জসিম মিয়ার দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, শনিবার সংঘর্ষের ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জন আহত রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরা হল জসিম শেখ (৩২), লুৎফর মিয়া (৪৫), সুজন মোল্লা (২৪)।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে সংঘর্ষ থামিয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন