যাত্রী ও যানবাহনের চাপে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় দুই হাজার যানবাহন। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ৯কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে তিন শতাধিক যানবাহন আটকে দিয়েছে পুলিশ সদস্যরা।
ঢাকা খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সচল রাখতে প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। যাত্রী ও যানবাহন চালকদের ভোগান্তি হ্রাস করতে বিশেষত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান গুলোকে বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, বাস যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। যাত্রীর চাপে বাসগুলো ফেরিতে যেতে পারছেন না। হাজার হাজার যানবাহনে ঢাকা খুলনা মহাসড়ক সচল রাখতে পুলিশ সদস্যরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। যাত্রীবাহী বাস ও সাধারণ যাত্রীদের কর্মস্থলে ফেরা নিশ্চিত করতে কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকগুলোকে বিকল্প রুট ব্যবহারের অনুরোধ করেন তিনি।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসা বাসযাত্রীরা বলেন, ত্রি হুইলারসহ পায়ে হেটে আসা যাত্রীদের চাপে ফেরিতে বাস সেভাবে যেতে পারছে না। ছোট ছোট যানবাহনে হাজার হাজার যাত্রী আসছেন। এসব যানবাহনগুলো নিয়ম মানতে চাচ্ছে না। এর সাথে হাজার হাজার মোটরসাইকেল রয়েছে। পুলিশ সড়ক সচল রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমাদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দীন বলেন দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পুলিশ সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিকল্প রুট ব্যবহার না করলে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা অসম্ভব হয়ে যেতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন