কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ তুলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চার এমপিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অভিযোগে স্বাক্ষর করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি ও এমপি অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত, দাউদকান্দি আসনের এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভুঁইয়া, এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এমপি রাজি মো. ফকরুলসহ ৪ জন সহসভাপতি, ২ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৪ জন সম্পাদক ও ২১ জন সদস্য।
অভিযোগে বলা হয়, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রুহুল আমিনের সঙ্গে সংগঠন বিরোধী ফোনালাপে রোশন আলী মাস্টার বলেছেন, ‘যারা নৌকা করে তারা সবাই রাজাকারের বাচ্চা, এদেশে টাকা দিলে মন্ত্রিত্ব পাওয়া যায়, নমিনেশন পাওয়া যায়।’
রোশন আলী মাস্টারের এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ও গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। এছাড়া সম্প্রতি ইউপি নির্বাচনে জেলার হোমনা, তিতাস ও দেবিদ্বার উপজেলার প্রার্থী তালিকা অগঠনতান্ত্রিকভাবে তৃণমূলের প্রস্তাব ছাড়া কেন্দ্রে পাঠানো ও এতে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তোলা হয় রোশন আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে। ফলে দেবিদ্বার উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মাত্র ৪টিতে নৌকা বিজয়ী হয় এবং ৩ নৌকা প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ম. রুহুল আমিন বলেন, উত্তর জেলার ৫ জন এমপির মধ্যে ৪ জন এমপিসহ প্রায় ৫০ নেতার স্বাক্ষরে সাধারন সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠানো হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার বলেন, ‘দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতার কারণে গ্রুপিং-অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি আমার জানা নেই।’