বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা এ দিনটিকে বুদ্ধত্ব লাভ হিসেবে উৎসব পালন করে। তাই তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বৌদ্ধ সম্প্রদায় দিনটিকে নানা উৎসবের মধ্যে দিয়ে পালন করছে। তিন দিনের কর্মসূচীর মধ্যে রবিবার ছিল দ্বিতীয় দিন। সকালে রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলায় রত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমার ধর্মীয় কর্মসূচী সূচনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নয় বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। এসময় রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা, নানিয়ারচর থানার কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হালদার, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কমল কান্তি চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পূণ্যার্থীর উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান ফুরমোন আন্তর্জাতিক ভাবনা কেন্দ্র সাপছড়ি অধ্যক্ষ মহাস্থবীর ও রত্নাংকুর বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির।
তিনি বলেন, অহিংসাই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পাবে। মানুষে মানুষে সম্প্রীতি মিল বন্ধ তৈরি করতে পারে। তাই মানজাতিকে হিংসে পরিত্যাগ করতে হবে। গৌতম বৌদ্ধ বলেছেন লোভ হিংসা, মিথ্যা চার পরিত্যাগ করে সৃষ্টিকর্তার নিদেশনা অনুসরণ করতে। এসময় তিনি সকল বীবের প্রতি বৈসম দূর করে সবাইকে শান্তি সম্প্রতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
এ আগে বৌদ্ধ বিহারে প্রদীপ প্রজ্বলন, শান্তি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা, ধর্মীয় সভা, সমবেত প্রার্থনা, বুদ্ধ পূজা, পিন্ডদান, প্রাতঃরাশ, পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় পৃথিবীর মানব জাতির শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। তখন পূণ্যার্থীদের সাধু সাধু সাধু ধ্বনিতে এক অন্যরকম শান্তি পরিবেশ সৃষ্টি হয় পাহাড় জুড়ে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাঙামাটি রাজবন বিহারে বিশালভাবে পালিত হবে এ বৃদ্ধ পূর্ণিমা। এর মধ্যদিয়ে শেষ হবে পার্বত্যাঞ্চলের তিন দিনব্যাপী বুদ্ধপূর্ণিমার উৎসব।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন