২৮ মে, ২০২২ ২০:০৩

রংপুরে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর:

রংপুরে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় মামলা

রংপুরের পীরগাছায় একটি দোকানের বিরোধের জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক ধান-চাল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম দেলোয়ার হোসেন (৪৫)। দেলোয়ার উপজেলার অনন্তরাম কসাইটারী এলাকার সবুর উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।  

এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত ফারুকের ছোট ভাইসহ ৩ জনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ফারুকের নাম উল্লেখসহ  ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পীরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে দেলোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান পাশের বাড়ির মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে ফারুক হোসেন। এরপর বাড়ির পাশে রেল লাইনের ধারে আগে ওঁৎ পেতে থাকা কয়েকজন মিলে দেলোয়ারকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় দেলোয়ার চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তখন দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে দেলোয়ারকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই পীরগাছা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত ফারুকের ছোট ভাই সবুজ মিয়া (৩৫), শফিকুল ইসলাম (৪০) ও রনজু মিয়া (৩০) নামে ৩ জনকে আটক করে। ফারুক হোসেনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেন নি পুলিশ। পীরগাছা উপজেলা শহরের মাছ হাটি এলাকায় অনন্ত রাম কসাই বাড়ির ফারুক মিয়ার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকায় পজেশন নিয়ে কিছুদিন কাঁচামালের ব্যবসা করে দেলোয়াার হোসেন। পরে তিনি সেখানে ধান-চাল ভুট্টা কেনাবচার ব্যবসাও করতে থাকেন। ওই দোকানের পজেশন নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় কয়েকমাস থেকে। এরই জেরে হত্যাকান্ড ঘটে। 

নিহত দেলোয়ারের মা দিলজান খাতুন জানান, পীরগাছা বাজারের একটি দোকানের জায়গা নিয়ে ফারুক হোসেনের সাথে দেলোয়ারের দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এ জন্য তারা আমার ছেলে জীবনে শেষ করে দিয়েছে। আমি হত্যাকারিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। 

নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কথা আছে বলে বাড়ি থেকে দেলোয়ারকে ডেকে নিয়ে যান ফারুক হোসেন। তারপর তার চিৎকার শুনে রেল লাইনের ধারে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। আমার দুই ছেলে আরমান ও ইমরানকে এখন কে দেখবে। আমি কি নিয়ে বাঁচবো। ওরা আমার সন্তানদের এতিম করে দিলো।  

পীরগাছা থানার ওসি সরেষ চন্দ্র জানান, লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েচে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করছেন। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর