কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ১৪ বছর বয়সী বাক-প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আবদুল ওহাব নামে এক অটোরিকশা চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওহাব উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। বুধবার ধর্ষণ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় ধর্ষক আবদুল ওহাব কৌশলে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
থানায় জাহাঙ্গীর হোসেনের দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভগ্নীপতি তার বোন ও বাক-প্রতিবন্ধী মেয়ের খোঁজখবর রাখে না। তার বোন এলাকায় মানুষের বাড়িতে কাজ করে। অন্যের বাড়িতে যাওয়ার সময় ঘরে রেখে যায় বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে। বুধবার সকাল ১০টায় বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ঘরে রেখে তার মা পাশের একটি বাড়িতে কাজ করতে যায়।
এ সুযোগে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক আবদুল ওহাব ঘরে ঢুকে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষক আবদুল ওহাব বাড়ির বাইরে তার রিকশা রাখায় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। লোকজন অটোরিকশা চালক আবদুল ওহাবকে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে একপর্যায়ে তাকে বাক-প্রতিবন্ধী কিশোরীর কক্ষ থেকে অর্ধ উলঙ্গ হয়ে বের হতে দেখে। কৌশলে আবদুল ওহাব তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের কথা জানায়।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর