ঝিনাইদহে পৌর নির্বাচনে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বুধবার সন্ধ্যায় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীসহ উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় প্রায় ২০ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকালে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে শহরের ধোপাঘাটা ব্রিজ এলাকায় নৌকার প্রার্থী আব্দুল খালেকের কর্মী-সমর্থকদের সাথে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার হিজলের কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিজল ঘটনাস্থলে গিয়ে তার সমর্থকদের শান্ত করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ের তার উপর প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এরপর যুবলীগ নেতাকর্মীরা শহরের পায়রা চত্বর এলাকায় দফায় দফায় মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় জেলা যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১০/১২জনকে আটক করে।
পরে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ চলে যায়। তবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ তাদের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিজল তার লাইসেন্সকৃত শর্টগান থেকে গুলি ছুড়ে তাদের ওপর আক্রমণ করেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে শহরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর