কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পিকআপের সঙ্গে সিএনজিচালিত আটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত আরো দুইজন হাসপাতালে মারা গেছেন। বিকালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জামাল মিয়া (৩২) ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন সবুজ মিয়া (৫০)।
ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন শরীফ মিয়ার (২৭) অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে কটিয়াদী উপজেলার ভোগপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শিপন মিয়া (২২)।
নিহত সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক শিপন মিয়া জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার নূরুল আমিনের ছেলে। নিহত দুই যাত্রীর মধ্যে জামাল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের কামালিয়ারচর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে ও সবুজ মিয়া একই গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।
অন্যদিকে আহত যাত্রী শরীফ মিয়া (২৭) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের কামালিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা।
বিন্নাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম সবুজ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জামাল মিয়া, সবুজ মিয়া ও শরীফ মিয়া রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে তারা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে কাজের উদ্দেশ্যে কটিয়াদীতে যাচ্ছিলেন। কটিয়াদীর ভোগপাড়া এলাকায় তাদের বহনকারী অটোরিকশাটির সাথে একটি মালবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাটির চালক শিপন মিয়ার মৃত্যু হয়। আর অটোরিকশার যাত্রী জামাল মিয়া, সবুজ মিয়া ও শরীফ মিয়া গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখান থেকে তাদেরকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জামাল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। সবুজ মিয়া ও শরীফ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবুজ মিয়ার মৃত্যু হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন