অযত্ন অবহেলায় গোয়ালঘরে মাকে রাখার অপরাধে দুই ছেলে ও তাদের স্ত্রীদের আটক করে আদালতে পাঠায় সিংগাইর থানা পুলিশ। সেই ভুক্তভুগী মায়ের অনুরোধেই অবশেষে ছেলে ও তাদের স্ত্রীদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হলে বিকেলে ৮৫ বছর বয়সী মা আয়োশা বেগমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই ছেলে ও তাদের স্ত্রীদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত ১২ জুন রাতে দুই ছেলে ও পুত্রবধূদের নামে সিংগাইর থানায় মামলা করেন বৃদ্ধা আয়েশা বেগম। রাতেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্বজনরা জানান, প্রায় ছয় মাস ধরে বৃদ্ধা মাকে গোয়াল ঘরে রেখেছিল সন্তানরা। পরে পুলিশ বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে সেই সাথে আটক করা হয় ছেলেদেরও। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রামে।
চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুল আলম স্বাধীন বলেন, বৃদ্ধা আয়েশা বেগমকে দেখার মতো কেউ নেই। তাই এলাকার মুরুব্বিদের সঙ্গে আলোচনা করে ছেলে কালাম মিয়া, মোস্তফা কামাল ও পুত্রবধূ মর্জিনা আক্তারের জামিন করানো হয়েছে। জামিন শুনানির সময় আদালতে মা আয়েশা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে মায়ের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করবেন না বলেও অঙ্গিকার করেছেন ছেলে ও তাদের স্ত্রীরা। মোস্তফা কামালের মেয়ে প্রিয়া আক্তার বলেন দাদী আদালতে গিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে এনেছেন।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লাা জানান, চারিগ্রাম গ্রামের ওই মাকে তার ছেলে ও পুত্রবধূরা প্রায় ছয় মাস ধরে গোয়ালঘরে গরুর সঙ্গে রেখেছিলেন। ঠিকমতো খাবার দিতেন না, খারাপ আচরণ করতেন। রবিবার বিকেলে ওই বৃদ্ধাকে গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে দুই ছেলে ও স্ত্রীদের আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল