টানা আটদিন যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে দ্রুতগতিতে বাড়ছে। আগামী দু’একদিনের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে পাউবো জানিয়েছে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ নদ-নদী করতোয়া, বড়াল, হুড়াসগর, ইছামতীসহ চলনবিলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী মানুষ বন্যার শঙ্কা করছে। ইতিমধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জমির কাঁচা পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হয়ে পড়ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকেরা।
অন্যদিকে, পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অঞ্চল চৌহালী, এনায়েতপুর, শাহজাদপুরে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। মাত্র দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, মসজিদসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারানো মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাঙনরোধে পাউবো জিওব্যাগ ফেললেও ভাঙনের তীব্রতার কারণে সেগুলোও বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বর্ষা মৌসুমে আরো শতশত বসতিসহ ফসলি জমি নদীতে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
চরাঞ্চলের কাওয়াকোলা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী জানান, চরের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। বিস্তীর্ণ এলাকার আবাদি ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। আরেকটু পানি বাড়লে বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই