টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের ৩টি উপজেলার কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহতভাবে বাড়ছে কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি। কুশিয়ারা নদীতে শেরপুর পয়েন্টে ইতিমধ্যেই বিপদসীমার ৮ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বালুর বস্তা নিয়ে নদীর বাঁধ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। যেকোন সময় বাঁধ ভাঙতে পারে এবং বাঁধ ভাঙলে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছে তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ.দা.) মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, আজমিরীগঞ্জের নিকলী ঢালা বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বানিয়াচং উপজেলারও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর, রাধাপুর, দিঘলবাগ ও দূর্গাপুর এলাকায় বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে। আউশকান্দি ও দিঘলবাগ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর ও রাধাপুরে কুশিয়ারা নদীর বাঁধের ১ ফুট ৬ ইঞ্চি উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) শাহ জহুরুল হোসেন জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলার বন্যাকবলিতদের জন্য ইতিমধ্যে শুকনো খাবারের প্যাকেট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জের বন্যা দুর্গতদের জন্য ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক