২৮ জুন, ২০২২ ১৭:৩১

গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড গড়েছে মোংলা বন্দর

বাগেরহাট প্রতিনিধি

গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড গড়েছে মোংলা বন্দর

মোংলা বন্দরে আমদানি করা গাড়ি।

চলতি অর্থ বছর শেষ হবার আগেই গাড়ি আমদানিতে রেকর্ড গড়েছে মোংলা বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, এবার চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়েও বেশি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে মোংলা দিয়ে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন ) পর্যন্ত চলতি ২০২১-২২ অর্থ বছরে মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি হয়েছে ২০ হাজার ৮০৮ টি। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ২০০৯ সালে ৮ হাজার ৯০৯ টি গাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে গাড়ি আমদানি বাড়তে থাকে। চলতি অর্থ বছর শেষ হবার আগেই গাড়ি আমদানিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে মোংলা বন্দর।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল বলেন, চলতি অর্থ বছরে দেশে গাড়ি আমদানির ৬০ শতাংশ হয়েছে মোংলা বন্দর দিয়ে। আর চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি হয়েছে ৪০ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থ বছরে দেশের প্রধান দু’টি আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি হয়েছে সর্বমোট ৩৪ হাজার ৭৮৩ টি। এরমধ্যে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে হয়েছে ২০ হাজার ৮০৮ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি হয়েছে ১৩ হাজার ৯১৩টি গাড়ি। বিগত অর্থ বছরগুলোর তুলনায় এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড বলেও দাবি করেন তিনি।
 
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সভাপতি মো. হাবিবুল্লাহ ডন বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দুরত্ব ২৬০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব মাত্র ১৭০ কিলোমিটার। যে কারণে একটি গাড়ি মোংলা বন্দর থেকে খালাসের পর খুবই কম সময়ে ও স্বল্প খরচে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো যায়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে আমাদের ব্যবসায়ীদের আমদানি করা শতাধিক গাড়ি মোংলা বন্দর দিয়ে সাড়ে ৩ ঘন্টায় ঢাকায় পৌঁছে গেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মোংলা বন্দর দিয়ে আগামী অর্থ বছরে গাড়ি আমদানির পরিমান বর্তমান ৬০ বাগ থেকে ৮০ ভাগ হবে বলেও জানান বারবিডার এই কর্মকর্তা।
 
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি ক্রমেই বেড়ে চলছে। আমদানিকারকদের বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, স্বল্প সময়ের মধ্যে মোংলা বন্দর থেকে গাড়ি খালাস, আমদানিকৃত গাড়ি রাখার জন্য উন্নতমানের শেড ও ইয়ার্ড নির্মাণ এবং আমদানিকৃত গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সার্বক্ষণিক টহল ও সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং ব্যবস্থা রাখায় সময় ও অর্থ সেভ হওয়ার কারণে আমদানিকারকরা এই বন্দরকে বেছে নিয়েছেন। এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আরও সুযোগ তৈরি হয়েছে। মাত্র ১৭০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী ঢাকার সব থেকে কাছের মোংলা বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা গাড়ি আমদানি করে দ্রুতই সড়ক পথে মাত্র সাড়ে ৩ ঘন্টায় গাড়ি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পারছেন। এতে করে ব্যাপক লাভবান হবেন আমদানীকারকরা।

সড়ক ব্যবস্থার আরো উন্নতি হওয়ায় গাড়ি আমদানি বৃদ্ধিসহ মোংলা বন্দরের মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যে ব্যাপক কর্মযজ্ঞের সৃষ্টি হবে বলেও জানান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর