প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানায় সোহাগী আক্তার নামের এক কলেজছাত্রী খুন হয়েছেন। সোহাগীর প্রেমিক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ২৮ বছরের আরিফুল নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার কুতুরপুর ইউনিয়নের পূর্ব সিয়ারচর লালখা গ্রামের আলী হোসেনের পুত্র। আরিফ পেশায় একজন শ্রমিক।
আজ সোমবার ভোররাত ৫টার দিকে শেরপুরের নকলা উপজেলার কায়দা এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে। সোহাগী কায়দা এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ।
পুলিশ বলছে, প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানার কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রেমিক খুন করেছে। ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় আরিফুলকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আরিফুলের সাথে সোহাগীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের টানে মাস দেড়েক আগে আরিফ নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে সোহাগীর সাথে দেখা করে। সেসময় আরিফের সাথে সোহাগীর মনোমালিন্য হয়। দীর্ঘ সময় সোহাগীর সাথে নানাভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আরিফ। কিন্ত সোহাগী এই সম্পর্ক আর চায়নি। এ নিয়ে আরিফ সোহাগীর ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে আরিফ আজ সোমবার শেষ রাতের দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সোহাগীর বাড়িতে এসে ওঁৎ পেতে থাকে। ভোরে সোহাগীর বাবা শহিদুল ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হলে আরিফুল শহিদুলের উপর এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এসময় সোহাগী বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ক্ষিপ্ত প্রেমিক সোহাগীকেও এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
স্থানীয়রা আহত বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগীকে মৃত ঘোষণা করেন। শহীদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান জানান, আরিফুলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ এই হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা