সম্প্রতি ৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন বাবা ফজর আলী। জমি বিক্রির টাকা থেকে দুই ভাই আলী নূর ও আ. আউয়াল বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। বাবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায়ই বাবার সাথে ঝগড়া করতো দুই ভাই। সর্বশেষ সোমবার বাবার সাথে ঝগড়া করে ছেলে আলী নুর।
একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে বৃদ্ধ বাবার হাত, পিঠ, কাঁধ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি কোপায়। এ সময় ফজর আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অভিযুক্ত ছেলে পালিয়ে যায় এবং স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছেলের দায়ের কোপে আহত ৭০ বছর বয়সী ফজর আলী একই গ্রামের মৃত নিয়ত আলীর ছেলে। অভিযুক্ত ফজর আলীর ছেলে ৩৫ বছর বয়সী আলী নূর, ২৮ বছর বয়সী স্ত্রী হালে, আলী নূরের ১৮ বছর বয়সী ছেলে হাবিবুল্লাহ।
ভুক্তভোগী ফজর আলীর মেয়ে মোছা. পাপন জানান, সম্প্রতি তার বাবা সোয়া ৫ শতাংশ জমি বিক্রয় করেছেন। তার দুই ভাই আলী নূর ও আ. আউয়াল অন্যত্র বাড়ি করে থাকে। বাবার জমি বিক্রির টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা দাবী করে আসছিল দুই ভাই। তাদের টাকা না দেওয়ায় দুই ভাই মিলে টাকার জন্য বাবার সাথে ঝগড়া করতো। রবিবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে আউয়ালের স্ত্রী বাবার বাড়িতে আসে টাকার জন্য ঝগড়া করে বাবাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
সোমবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আলী নূর, স্ত্রী, পুত্র ও ভাই আউয়ালকে সঙ্গে নিয়ে দা হাতে বাবার বাড়ির সামনে অবস্থান করে। তাদের গালিগালাজের শব্দ শুনে ফজর আলী বাড়ি থেকে বের হলে কিছু বুঝে উঠার আগেই আলী নূর ধারালো দা দিয়ে বৃদ্ধা ফজর আলীর কাঁধ, হাত, পিঠ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কোপায়। ফজর আলী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে হামলাকারীরা চলে যায়।
স্থানীয়রা ফজর আলীকে শ্রীপুর হাসপাতালে নেয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর জাতীয় সেবা নাম্বার ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. রাজ্জাক ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর