ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সাপের কামড়ে সোয়াঈদ মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর সে মারা যায়। মৃত সোয়াঈদ মিয়া উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের নতুন পাড়ার মো. বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোয়াঈদ মিয়া সিলেটে ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। ঈদ-উল আযহা উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে আসেন।
গত শুক্রবার রাতে বন্ধুদের সাথে বাড়ির পাশের খালের পানিতে মাছ ধরতে যায় সোয়াঈদ মিয়া। মাছ ধরার সময় রাত ১টার দিকে তার ডান পায়ে সাপে কামড় দিয়েছে। তখন বন্ধুরা আক্রান্ত স্থানে রশি দিয়ে বাঁধন দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়।
ভোর রাতে পরিবারের সদস্যরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরার্মশ দেয়। পরে সোয়াঈদের পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত কয়েকজন স্থানীয় সাপুড়ে দিয়ে ঝাড়ফুঁক করায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম ও ডাঃ জীবন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম বিভিন্ন পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. জীবন চন্দ্র দাস বলেন, তাকে সাপে কামড় দেয়ার সাথে সাথেই নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে হয়তো বাঁচানো যেত। কিন্তু তারা স্থানীয় সাপুড়ে দিয়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করায়। তিনি বলেন, মৃতের মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে মনে হচ্ছে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার কামড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অভিজিৎ রায় বলেন, সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যুর খবরটি জেনেছি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম