কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে ভোররাতে বাড়িতে পুলিশ দেখে হার্ট অ্যাটাকে পরোয়ানা ভুক্ত এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার ভোররাতে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউছুপের খীল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তিনি রামু হাসপাতালে মারা যান বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও থানার ওসি মো. আবদুল হালিম।
পরোয়ানাভুক্ত মৃত ব্যক্তি নুরুল কবির লেদু (৫৬) ঈদগাঁওর ইসলামাবাদ ইউছুপের খীল এলাকার মৃত সুলতান আহমদের বড় ছেলে। লেদু পেশায় প্রবাসী থাকলেও হৃদরোগের কারণে গত ঈদুল ফিতরের পর স্থায়ী ভাবে দেশে চলে আসেন এবং এলাকায় ব্যবসা করতেন।
ঈদগাঁও থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মারামারির ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি নুরুল কবির লেদু। ওই মামলায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। রবিবার ভোররাত ২ টার দিকে খবর আসে পলাতক আসামি নুরুল কবির লেদু বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেই মতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে যান।
ওসি আরও জানান, বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতি ও তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা শুনে তার বুক ব্যথা বেড়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা আসামির বুকে ব্যথা জনিত অসুস্থতার কথা পুলিশকে অবহিত করে। আমার (ঈদগাঁও থানার ওসির) নির্দেশনায় আসামির বড় ছেলে শরীফসহ পুলিশের গাড়িতে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। রামু পৌঁছার পর বুক ব্যথা বেড়ে গেলে তাকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে রবিবার রাত আনুমানিক পৌনে ৩ টার দিকে এ আসামির মৃত্যু হয়।
মৃতের ছেলে মুহাম্মদ শরীফুজ্জামান বলেন, এলাকার একটি মারামারির মামলায় বাবাও আসামি হন। কিন্তু পরে স্থানীয়ভাবে বসে মামলা নিষ্পত্তি হয়। বাবাও প্রবাসে চলে যায়। তবে, এ নিষ্পত্তি নামা আদালতে না দেয়ায় মামলা চলমান থেকে যায়। এর ভেতর বাবা পলাতক হিসেবে ওয়ারেন্ট হয়। এসব আমাদের জানা ছিল না। সেই মামলায় পুলিশ বাবাকে গ্রেফতার করতে গেছে জানার পর বুকে ব্যথা জনিত অসুস্থতা অনুভব করেন। পরে পুলিশের গাড়িযোগে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল