ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ২৭ কিলোমিটার অংশে ঈদে গন্তব্যে ফেরাদের পড়তে হচ্ছে না কোন যানজটে। মহাসড়কের ফেনীর কোথায়ও যানজট না থাকলেও গন্তব্যে ফেরা যাত্রীদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে টিকেটের জন্য।
বিভিন্ন বাস কাউন্টারে গন্তব্যে ফেরা যাত্রীদের টিকেটির জন্য দীর্ঘ লাইন ধরতে দেখা গেছে। তবে অধিকাংশ যাত্রী অগ্রীম টিকেট কেটে রাখায় গন্তব্যে ফেরা যাত্রীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। অগ্রীম টিকেট কাটতেই যত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই মহাসড়কের উপর বিভিন্ন জেলার অংশে হাট-বাজার থাকলেও ফেনীর অংশে নেই কোন হাট-বাজার।
মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি ৬ লেন ফ্লাইওভার ও তার কিছুদিন পরই ফতেপুরে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করার পর ফেনীর অংশে যানজট নিমেষেই শেষ হয়ে গেছে। সড়ক দুর্ঘটনা ও ইচ্ছাকৃত সৃষ্ট জট ছাড়া মহাসড়কের ফেনীর অংশে সচরাচর বড় ধরেন কোন যানজট দেখা যায় না। তবে রাতে মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যান, লরি ও ট্রাক চলাচল বেড়ে যাওয়ায় যান চলাচল কিছুটা ধীর গতিতে হয়ে থাকে।
মহাসড়কের কোথায়ও খানাখন্দ দেখা যায়নি। মহাসড়কের ফেনীর মহিপালের ফ্লাইওভারের নিচের অংশে ঢাকা-চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা থেকে আগাম যাত্রীরা উঠানামা করায় এবং মহিপাল থেকে এসব জেলায় যাওয়ায় এখানে কিছুটা যানজট দেখা যায়। যেন তেন ভাবে মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা নামানোয় এই যানজট সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ২ লেনের লিংক রোডে বিশেষ করে সার্কিট হাউজ সড়কে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ভ্যানে গাড়ি নিয়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা দখল করে রাখার কারণেও ও মহাসড়কের গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা নামানোর কারণে এই অংশে যানজট দেখা দেয়। চট্টগ্রামের সাইডেও ২ লেনে নিয়মিত একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকে, আরেকটি বাস পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী উঠানোর সময় এই অংশেও নিয়মিত ছোটখাট জট লেগে থাকে।
মহাসড়কের মহিপাল ফ্লাইওভার ও ফতেপুর ওভারপাস নির্মাণের আগে মহাসড়কের ফেনীর অংশে যানজট ছিল নিত্যদিনের। ঘণ্টার পর ঘণ্টাও মহাসড়কের শুধু মহিপালেই যানজটে পড়ে বসে থাকতে হতো হাজার হাজার পরিবহনকে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত