বেহাল সড়কে গাড়ি চলছে হেলে দুলে। মানুষ হাটছে মাঝখানের সরু আইল ধরে। এটি কোন গ্রামের চিত্র নয়। নেত্রকোনা পৌর শহরের মধ্যে সাতপাই রেলক্রসিং থেকে সাতপাই গাড়া পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ভেযে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাতপাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেইট বরাবর অংশে এমনভাবে পানি জমে থাকে। যে কেউ ভাববে এটি একটি পুকুর।
সড়কটি পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তারপরও বাধ্য হয়েই নেত্রকোনা-পূর্বধলা-সদরের হাটখলা, কুনিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় লাখো মানুষ যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। চরম ভোগান্তি নিয়ে এই সড়কে চলছে মানুষ। সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে জনসাধারণের চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই সড়ক। ঘটছে প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নেত্রকোনা সাতপাই রেলক্রসিং সড়কের মাথা থেকে পূর্বধলা সড়কের গাড়া পর্যন্ত সড়কের এই বেহাল। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পানি জমে থাকছে। গর্তের মাপ বোঝা যারেচ্ছ না। ফলে রিক্সা, পিকাপ, ট্রাক, সিএনজি অটোর চাকা আটকে যাচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে ইট সুরকি দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই সুরকি সড়ে গিয়ে আবার গর্তের সৃষ্টি হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতকারি শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকেন। যানবাহন চলাচলের সময় কাদা ছিটে গিয়ে চলাচলকারি লোকদের পোষাক নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধু এই এলাকাই নয় নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতাল চক্ষু হাসপাতাল রোডসহ বেশির ভাগ সড়কেরই এমন অবস্থা।
রেলক্রসিং এলাকার বাসিন্দা ঝিলন মিয়া, হানিফ উল্লাহ আকাশসহ বেশ কয়েকজন জানান, র্দীঘ কয়েক বছর ধরে এই সড়কের এমন অবস্থা। বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোন সময়। প্রথম শ্রেনির পৌর শহরের ভেতরে এমন সড়ক খুবই ভয়ঙ্কর। এই ব্যাপারে তারা পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে সড়কটি দ্রুত মেরমতের জন্য কথা বলেছেন বলেও জানান। পৌর কর্তপক্ষ জানান, সড়কটি নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। অচিরেই সংস্কার কাজ করা হবে। পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান বলেন, পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি সড়ক নতুন করে নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। বর্ষা শেষ হবার সাথে সাথে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল